প্রকাশিত: Mon, Dec 5, 2022 2:27 PM
আপডেট: Mon, Apr 28, 2025 8:54 PM

বিশ্বের সবচেয়ে ছোট অ্যান্টেনা তৈরি করলেন বাঙালি গবেষক, কাজ করবে মোবাইলেও

রাশিদুল ইসলাম : নাসা, ইসরোর মতো বিখ্যাত মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্রগুলোতে মহাকাশের নানান সিগন্যাল গ্রহণ করার জন্য বড় বড় অ্যান্টেনা থাকে। বস্তুত কোন সংস্থার কাছে কত বড় অ্যান্টেনা আছে তা নিয়েই এতোদিন খবর হয়েছে। কিন্তু এবার সম্পূর্ণ উল্টোপথে হেঁটে নজির তৈরি করলেন বাঙালি বিজ্ঞানী শ্রীকান্ত পাল। তিনি বিশ্বের সবচেয়ে ছোট অ্যান্টেনা তৈরি করেছেন। তার এই বোতামের সাইজের অ্যান্টেনা বিশ্বের গণ-যোগাযোগ মাধ্যমকে আগামী দিনে সম্পূর্ণ বদলে দিতে পারে। দি ওয়াল

শ্রীকান্ত পালের তৈরি এই অ্যান্টেনা বøæ-টুথের থেকে একশো গুণ বেশি দ্রæতগতিতে তথ্য আদানপ্রদান করতে পারে। ১০০ মিটার ব্যাসার্ধের মধ্যে তথ্য আদান-প্রদানে সক্ষম দুটো ডিভাইসে এই অ্যান্টেনা লাগানো থাকলে বিনা ইন্টারনেটেই তা বড় বড় ফাইল, তথ্য একে অপরকে পাঠাতে পারবে। এর ফ্রিকোয়েন্সি ক্যাপাসিটি ১.৮ গিগাহার্টজ থেকে ১৮ গিগাহার্টজ পর্যন্ত! সবচেয়ে বড় কথা এই অ্যান্টেনায় সিগন্যালের ওঠাপড়া অত্যন্ত কম। এটি স্মার্টফোনে সহজেই কানেক্ট করা যায়। এই ক্ষুদ্রতম অ্যান্টেনা তৈরির খরচ খুব কম বলে জানিয়েছেন শ্রীকান্তবাবু। ভারতের বাঁকুড়া জেলা স্কুল থেকে মাধ্যমিক পাশ করেছিলেন শ্রীকান্ত পাল। এরপর খ্রিষ্টান কলেজ থেকে উচ্চমাধ্যমিক, ওয়ারেঙ্গেল আর ই কলেজ থেকে ইলেকট্রনিক ও কমিউনিকেশনে বি-টেক, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এম-টেক করেন। এরপর পড়াশোনার জন্য বিলেতে পারি দেন। অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি ও বার্মিংহাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পোস্ট ডক্টরেট করেন। চাকরি জীবনের গোড়াতে ভারত ইলেক্ট্রনিক্স লিমিটেডে যোগ দেন। এরপর দিল্লি ও রুড়কি আইআইটিতে অধ্যাপনার কাজ করেন। পাশাপাশি রাঁচির মেশরার বিড়লা ইন্সটিটিউট অফ টেকনোলজিতে সিগন্যাল নিয়ে গবেষণা শুরু করেন। আর তা করতে গিয়েই সহকারী গবেষক মৃন্ময় চক্রবর্তীর সঙ্গে তৈরি করে ফেলেন এই ক্ষুদ্রতম অ্যান্টেনা।

২০১৩ সালেই এই যুগান্তকারী আবিষ্কার করে ফেলেন শ্রীকান্ত পাল। ভারত সরকারের কাছে পেটেন্ট চেয়ে আবেদনও করেন। কিন্তু সেই আবেদনে সাড়া দিতে দীর্ঘ ৯ বছর লাগিয়ে দেয় ভারত সরকার। অবশেষে শ্রীকান্ত পাল ও মৃন্ময় চক্রবর্তী পেটেন্ট পেয়েছেন।